গর্ভধারণ না হলে বিভিন্ন কারণে লেট হতে পারে পিরিয়ড।এর পেছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে হরমোন সংক্রান্ত পরিবর্তন। পিরিয়ডের পুরো প্রক্রিয়াটা নিয়ন্ত্রণ করে কয়েকটি হরমোন, ফলে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন এলে পিরিয়ড লেট হতে পারে। পিরিয়ড পেছনে কারণ হিসেবে থাকতে পারে জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন,
যেমন:
– পরিবেশগত পরিবর্তন
– ওজন হঠাত্ করে কমা বা বেড়ে যাওয়া
– ডায়েট – ভারী ব্যায়াম বা শরীরচর্চা, যেমন দৌড়ানো বা নাচের চর্চা
– ভ্রমণ করে নতুন কোথাও যাওয়া বা নতুন কোনো জায়গায় বসবাস করতে আসা
– মানসিক কোনো বড় পরিবর্তন, কোনো ধরণের মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কা অনেক সময়ে দেখা যায় বার্থ কন্ট্রোল পিল অথবা অন্য কোনো ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণের কারণেও পিরিয়ড লেট হতে পারে। পিরিয়ড লেট হবার পেছনে যেসব রোগের অবদান থাকতে পারে সেগুলো হলো-
– ওভারিতে প্রভাব ফেলে এমন কোনো যৌনরোগ
– ওভারিতে সিস্ট, ইউটেরাসে টিউমার থাকলে পিরিয়ড লেট হতে পারে বা খুব বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে
– এছাড়াও শরীরের ওপরে বড় মাত্রায় চাপ ফেলে এমন অসুস্থতার কারণে পিরিয়ড লেট হতে পারে
– কোনো রোগের কারণে হরমোন লেভেল অস্বাভাবিক হয়ে পড়লে তার জন্য পিরিয়ড লেট হতে পারে।
কোনো অসুস্থতার কারণে যদি আপনার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে থাকে এবং এ কারণে পিরিয়ড লেট হয়, তবে রোগ সারিয়ে তলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাওয়া দাওয়া করতে হবে নিয়ম মতো। ধূমপান, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এর ব্যাপারে থাকতে হবে সাবধান।
এক্ষেত্রে চিন্তার তেমন কিছু নেই, ৪-৫ দিন আগে পরে হতে পারে। তবে যদি তলপেটে প্রচুর ব্যথা থাকে কিংবা পরপর দুই মাস পিরিয়ড না হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।
সুস্থ থাকুন।
আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।